শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাট সদর ইউপির শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-বরেন্দ্র নিউজ সাপাহারে ফসলী জমি কেটে নির্ধারিত স্থানে পানির লাইন না বসিয়ে অর্থের বিনিময়ে অন্য স্থানে বসানোর অভিযোগ-বরেন্দ্র নিউজ বাংলাদেশকে জুলুম অত্যাচার হাত থেকে রক্ষা করতে ইসলামী রাষ্ট্রের বিকল্প নেই-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান খুলনার দাকোপ ছাত্র লীগের জন্মদিন পালনে আটক-৩-বরেন্দ্র নিউজ সাপাহারে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইনে অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ গণ অধিকার পরিষদের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন-বরেদ্র নিউজ সীমান্তবর্তী উপজেলা ডিমলায় শতাধিক এতিম শিশুকে ইউএনওর কম্বল উপহার-বরেন্দ্র নিউজ সাপাহারে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত-বরেন্দ্র নিউজ
ধরলায় পানিও নাই মাছও নাই মাঝিরা বিপদে-বরেন্দ্র নিউজ

ধরলায় পানিও নাই মাছও নাই মাঝিরা বিপদে-বরেন্দ্র নিউজ


সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ বেশির ভাগ নদ-নদীর নাব্যতা সংকটে পানি প্রবাহ একাবারেই থেমে গেছে। ফলে নদীর বুক জুড়ে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য বালু চর।

শুকনো মৌসুমের শুর“তেই এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্রসহ দেশী প্রজাতির মাছ। এতে করে জীবন-জীবিকার সংকটে পড়েছে নদী নির্ভর মানুষেরা। অন্যদিকে নদীগুলোকে বাঁচাতে সমীক্ষার মাধ্যমে খননের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেড় থেকে দুই কিলোমিটার প্রস্থ ও ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘের ধরলা নদীর বুক এখন ধু ধু বালু চর। দেখে বোঝার উপায় নেই, এক সময়ের প্রমত্তা ধরলা নদী এটি। এই নদী এসব বালু চরের পাশে পরিনত হয়েছে সর“ খালে। সেখানে সামান্য পানি থাকলেও তাতে নেই কোন প্রবাহ। একই অবস্থা অন্যান্য নদীরও। কয়েক বছর আগেও শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহ ছিল। কিন্তু বর্তমানে নাব্যতা সংকটে থেমে গেছে সে প্রবাহ। বছরের এই সময়টাতে নদীতে নৌকা না চলায় ও মাছ না থাকায় কষ্টে দিন পাড় করছেন এসব পেশার সাথে সম্পৃক্তরা।বিশেষ করে বিপদে পড়েছে মাঝিরা।

ধরলা পাড়ের বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, নদ-নদীর তলদেশ ভড়াট হওয়ায় কমে গেছে পানির ধারন ক্ষমতা। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গছে ঘর-বাড়ি আর শুকনো মৌসুমে থাকছে না পানি। এ অবস্থায় জীবিকার সংকটে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষেরা। নদ-নদীগুলোকে খননের মাধ্যমে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।

ধরলা নদীতে নৌকা চালায়ি জীবিকা নির্বাহ করেন সুবল চন্দ্র নামের এক জেলে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে ধরলা নদীতে সবসময় ভরা পানি থাকতো। নদীতে মাছ ধরে সংসার ভালোই চলছিল। এখন ধরলায় পানিও নাই, মাছও নাই পড়ছি বিপদে। এখন কোনরকমে নৌকা চালাই। শহরের মানুষজন ঘুরতে আসে তাদেরকে নিয়ে যে ভালো ভাবে নৌকা চালাবো তাও পাই না। নৌকা ঠেকে যায় মাটিতে মানুষ নৌকায় উঠতেও চায় না। তার পরেও নৌকা চালিয়ে কোনরকমে সংসারের হাল ধরে আছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নন নদীর নাব্যতা বিষয়টি যেমন নৌ চলাচল যাতে বিঘ্ন না ঘটে এই বিষয়টি বিআইডবি­উটিএ দেখছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে খনন করা। যেখানে খনন করলে ভাঙন রোধ হবে। তাই নদী সমীক্ষার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি ও খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নদীগুলো খনন হলে নদ-নদীগুলো জীবন্ত হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি।

জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলো দ্র“ত খনন করা না হলে বর্ষা মৌসুমে যেমন বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে তেমনি নদী কেন্দ্রিক জীবন-জীবিকাও পড়বে চরম সংকটে। হারিয়ে যাবে জীব-বৈচিত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT